শনিবার

আন্দোলনে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যৌক্তিক একটি আন্দোলনের মধ্যে যখন রাজনৈতিক অপশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটে, তখন উদ্বিগ্ন হতে হয়। এই আন্দোলনে এই পর্যন্ত বারবার খবর পাওয়া যাচ্ছে, এখানে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে রাজনৈতিক রং চড়াতে চায়, তাদের ব্যাপারে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে।

আন্দোলনে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের এক সহসভাপতির ছবি দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ধ্যার পর কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা যখন বেশি থাকে না, তখন এদের মধ্যে এই অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে যায়। তখন তাদের বাস ভাঙচুরের উসকানি দেওয়া হয়।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক ঘৃণ্য মতলব নিয়ে আজকে এই আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক ধারায় প্রবাহিত করার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এখন তারা স্কুলের কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক বিষবাষ্প ঢুকিয়ে দেশ বিশৃঙ্খল করতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে। যারা অরাজনৈতিক শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে রাজনৈতিক রং চড়াতে চায়, তাদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার জন্য আমরা অনুরোধ করছি।

ছাত্রছাত্রীদের সব দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের শুভবুদ্ধির অনেকেই বলেছেন সরকার দাবি মেনে নিচ্ছে। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমাদ, আবুল মকসুদ, ইলিয়াস কাঞ্চন ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে চলে যেতে বলেছেন ।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রী কাদের আরও বলেন, তাদের দাবি অনুযায়ী শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের সামনে আন্ডারপাসের অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীকে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন। ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে আন্ডারপাসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য টেন্ডার ছাড়াই সেনাবাহিনীকে কাজ করতে বলা হয়েছে। দ্রুত কাজ যেগুলো করতে হয়, সেগুলো সেনাবাহিনীকে দিয়ে করানো হয় যাতে করে কোনো জটিলতা না থাকে। দ্রুত কাজগুলো শেষ হয়ে যায়। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের দাবিগুলো যৌক্তিক মনে করে আধুনিক ডাম্বল স্পিডব্রেকার করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে স্কুল–কলেজের সামনে ডাম্বলস্পিড ব্রেকার করা হবে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ির রুট পারমিট বাতিলসহ যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিআরটিএকে বলা হয়েছে। জনবল সংকটের কারণে কিছুটা দেরিও হতে পারে।

সরকার অনুপ্রবেশকারীদের কেন আইনের আওতায় আনছে না, এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের ভূমিকা অবলোকন করছি। আন্দোলনের ভেতরে অনুপ্রবেশ করে তাদের ছবিও পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সংগ্রহ করছে। তাদের গতিবিধিগুলো আমরা রাজনৈতিকভাবেও দূর থেকে দেখছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো দমনমূলক পদক্ষেপ এই ছোট ছোট বাচ্চাদের ওপর নেওয়া যাবে না।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘পুলিশ নানা অপমান–অপদস্থ এবং হয়রানির শিকার হয়ে ধৈর্যের প্রয়াস দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক অপশক্তির মদদ যে আছে, সেটা আমরা কাছ থেকে লক্ষ করছি। আমরা ধৈর্য ধরছি। আমাদের বিশ্বাস কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে। দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’

শান্তির স্বার্থে সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে অভিভাবকদের অনুরোধ করে কাদের বলেন, ‘শিক্ষক-অভিভাবক তাদের আমি গতকালও অনুরোধ করেছি। শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি সবাই এই ব্যাপারে হাত বাড়াবে। আমরা তাদের আবার অনুরোধ করব। দয়া করে শান্তির স্বার্থে আমাদের এই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই। ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সবাই যদি সমন্বিতভাবে চেষ্টা করি, ভালোভাবে বোঝালে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ভবিষ্যতের কথা অনুধাবন করে ঘরে ফিরে যাবে বলে আমরা আশা করি।’

বুধবার

প্রতিদিন ১টি এলাচ দূর করতে পারে ৮টি স্বাস্থ্য সমস্যা

elach

খাবার খেতে বসলে মুখে এলাচ চলে গেলে মুখের স্বাদটাই মাটি হয়ে যায় অনেকের। মনে মনে ভাবতে থাকেন এলাচ খাবারে না দিলেই কি নয়? কিন্তু সত্যিই এই এলাচ রান্নাতে না ব্যবহার করলেই নয়। কারণ রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানো এলাচের অন্যতম কাজ। কিন্তু আপনি জানেন কি রান্না ছাড়াও আপনি এলাচ খেলে তা আপনার ৮ টি শারীরিক সমস্যা দূরে রাখবে? অনেকেই হয়তো বিষয়টি জানেন না। কিন্তু প্রতিদিন মাত্র ১ টি এলাচ খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না, নানা রকম সমস্যার সমাধান পাবেন।

১) এলাচ এবং আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

২) দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।

৩) রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।

৪) এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।

৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

৬) নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

৭) গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

৮) এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল, ফ্রি র্যাহডিকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক।

মঙ্গলবার

বলিউডের আলোচিত ১০টি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক

প্রেম, পরকীয়া, বিয়ে বলিউডের সবচেয়ে মুখরোচক সংবাদ। কখনো সেগুলো গুঞ্জনে সীমাবদ্ধ থাকে। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর সত্যতাও থাকে। দেখা যায়

একসঙ্গে অভিনয় থেকে বন্ধুত্ব। এক পর্যায়ে সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক রূপ নেয় প্রণয়ে। তবে বলিউডে অভিনেত্রী ও অভিনেতাদের মধ্যে এমন কিছু সম্পর্ক হয়েছে যেগুলো পরকীয়ার সম্পর্ক। আর এমন ১০টি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হল।

অমিতাভ বচ্চন-রেখা

বোধহয় বলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। জয়া বচ্চনের দৃঢ় মনোভাবের কারণেই অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক চরম পরিণতি পায়নি, এমনটাই শোনা যায়।

হৃতিক রোশন-বারবারা মোরি

‘কাইট’ সিনেমার শুটিং-এর সময়েই হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বারবারা। স্ত্রী সুজানের সঙ্গে হৃতিকের দূরত্ব সেই সময় থেকেই বাড়তে শুরু করে। এমনকী, ব্যথিত সুজান একসময় হৃতিককে ছেড়ে বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ২০১৪-এ বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের।

আদিত্য পাঞ্চোলি-কঙ্গনা রানৌত

আদিত্য স্ত্রী জারিনা ওয়াহাবের পাশাপাশি সম্পর্ক রেখেছিলেন কঙ্গনার সঙ্গেও। কঙ্গনা বা আদিত্য কেউই এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি। এমনকী জারিনাও নাকি মেনে নিয়েছিলেন তাঁদের সম্পর্কটা। কিন্তু একবার প্রকাশ্যে আদিত্যর হাতে অপমানিত হওয়ার পরে আদিত্যের থেকে দূরে সরে যান কঙ্গনা।

অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা খান

সালমানের বোন অর্পিতার সঙ্গে যখন প্রেম চলছে অর্জুনের তখনই সালমানের বউদি, আরবাজ খানের স্ত্রী মালাইকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অর্জুন। শোনা যায়, সালমানই নাকি শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেন ব্যাপারটার মধ্যে এবং অর্জুনকে মালাইকার থেকে দূরে সরে যেতে বলেন। সালমানের ‘নির্দেশ’ এড়াতে পারেননি অর্জুন।

বনি কাপুর-শ্রীদেবী

মোনা কাপুরের সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপন করার সময়েই শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বনি। বনি এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি কখনও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শ্রীদেবীর সঙ্গেই ঘর বাঁধেন বনি। বিয়ের সময় শ্রীদেবী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

আদিত্য চোপড়া-রাণী মুখার্জি

বর্তমানে আদিত্যর ঘরণী হলেও রানি যখন প্রথম প্রেমে পড়েন আদিত্যর তখন তিনি পায়েল খান্নার স্বামী। ২০০১-এ পায়েলকে বিয়ে করেন আদিত্য। আর ২০০৯ সালে শুরু হয় তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। চট করে ডিভোর্স অবশ্য মেলেনি আদিত্যর।

শাহরুখ খান-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

শাহরুখ এমনিতে বলিউডের অন্যতম নিষ্ঠাবান স্বামী বলে পরিচিত। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুজব তাঁর এই ইমেজকে অনেকটাই নাড়িয়ে দেয়। তবে সবটাকেই গুজব বলে মেনে নিতে অবশ্য রাজি নন অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, যা রটে তার কিছু তো ঘটে।

আমির খান-কিরণ রাও

‘লগান’ সিনেমার সহকারী পরিচালক ছিলেন কিরণ। সেখানেই তাঁদের প্রণয়পর্বের সূচনা। সেই সময়ে আমির তাঁর স্ত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে সংসার করছেন। ১৬ বছর রিনার সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটানোর পর তাঁকে ডিভোর্স দেন আমির। তার বছর চারেক পরে বিয়ে করেন কিরণকে।

গোবিন্দ-রাণী মুখার্জি

‘হদ করদি আপ নে’র শুটিং-এর সময়েই বিবাহিত ও দুই সন্তানের পিতা গোবিন্দর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাণী। গোবিন্দ নাকি রাণী মুখার্জিকে অজস্র উপহার দিতে শুরু করেন, আর অনেক পরিচালকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন রাণীর। শেষ পর্যন্ত গোবিন্দের স্ত্রী সুনিতা গোবিন্দকে ছেড়ে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে শুরু করলে আবার সংসারের প্রতি মনোযোগী হন গোবিন্দ।

মিঠুন চক্রবর্তী-শ্রীদেবী

মিঠুন ও শ্রীদেবীর সম্পর্কের সূত্রে মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালীকে অনেক সময়েই বিব্রত হতে হয়েছে। শোনা যায়, মিঠুনের সঙ্গে শ্রীদেবীর নাকি গোপনে বিয়েও হয়েছিল। শেষে যোগিতা আত্মহত্যার হুমকি দিলে মিঠুন দূরে সরে যান শ্রীদেবীর থেকে।

সোমবার

মৌসুমি ফলের সুফল

প্রথম আলো ফাইল ছবি

এখন বর্ষাকাল। কখনো প্রচণ্ড রোদ। গরমে শরীর ঘেমে যায়। আবার কখনো বৃষ্টি। ঠান্ডা বাতাস। গরম আর ঠান্ডা মিলে নানা অসুখ–বিসুখ লেগেই থাকে। এ সময়ের ভাইরাস জ্বর, জন্ডিস, ডায়রিয়া ধরনের রোগ বেশি হয়। এ ছাড়া অনেকে অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগে।

বৃষ্টির পর অনেক সময় গুমোট গরম লাগে। কারণ, ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানির স্বল্পতা ও ইলেট্রোলাইটে ভারসাম্যহীনতা হয়। সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

রোগ হলে তো ওষুধ খেতেই হয়। তবে রোগ ঠেকাতে কাজে দেয় কিছু ফল। এসব ফল খুব সহজলভ্য। মৌসুমি ফলগুলো অসুখ থেকে বাঁচায়। অনেক সময় স্বস্তিও দেয়। এ রকমই মৌসুমি কিছু ফলের গুণ জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম. আখতারুজ্জামান।

আম: আমের নাম শুনেই জিবে জল আসে না এমন মানুষের দেখা পাওয়া খুব কঠিন। ফলটি শুধু স্বাদে নয়, গুণেও অনন্য। পাকা আম ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম আমে ১০০০ থেকে ১৫০০ আইইউ ভিটামিন ‘এ’ থাকে। এ ছাড়া আমে ভিটামিন বি ও সি, খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম থাকে। চোখের নানা রোগ, চুলপড়া, খসখসে চামড়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে পারে আম।

জাম: রোগ নিরাময়ে জামের ভেষজ গুণ অনেক। শুধু এর নরম মাংসই নয়, এর বীজও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আনারস: সুস্বাদু ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল হলো আনারস। সর্দি-কাশিতে আনারস খেলে কাজে দেয়। কৃমি সারাতেও এটি কার্যকর।

তরমুজ: তরমুজ আমাদের দেশের অতি পরিচিত এবং সবার প্রিয় ফল। এটি এখন প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পানি। অতিরিক্ত ঘাম এবং তৃষ্ণা দূর করতে তরমুজের রস খুবই কার্যকর। কাজের কারণে ক্লান্তি যতই আসুক তরমুজের রস খেলে অল্প সময়েই ক্লান্তি দূর হয়। তরমুজের বীজ বেটে ঠান্ডা পানিতে চিনিসহ মিশিয়ে খেলে যকৃৎ পরিষ্কার থাকে।

পেঁপে: পেঁপে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। পেঁপেতে আছে প্যাপাইন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পাকা পেঁপে খুব কার্যকর। কাঁচা পেঁপে ডায়রিয়া ও জন্ডিসে সারায়। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে এবং পাকা পেঁপে জুস করে খাওয়া যায়।

শসা: গরমে প্রশান্তি দেয় শসা। গরমে শরীরে যে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়, তা শসার মাধ্যমে অনেকটা পূরণ করা যায়। শসা ত্বকের জন্য ভালো।

লেবু: পেট ফাঁপা, পেটের সমস্যা, ঠান্ডা, সর্দি-কাশিতে লেবু খুবই উপকারী। লেবুতে আছে ভিটামিন সি। জ্বর ও মুখের ঘা দূর করতে লেবুর ভূমিকা অনন্য।

কাঁঠাল: কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। পাকা কাঁঠালের ক্যালরি মূল্য প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ কিলোক্যালরি। মোট খনিজ লবণের পরিমাণ প্রায় ০.৯। কাঁচা কাঁঠালে আঁশের পরিমাণ পাকা কাঁঠালের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। তাই ডায়াবেটিক মানুষের জন্য কাঁচা কাঁঠাল উপকারী। রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কাঁচা কাঁঠালের জুড়ি নেই।

পানিফল: পানিফল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে শতকরা ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি। ক্যালরিও অনেক এই ফলটিতে।

কলা: কলা প্রায় সব মৌসুমেই পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা অবশ্যই থাকা উচিত।

এম আখতারুজ্জামান আরও বলেন, মানুষ ফরমালিনের ভয়ে ফল খেতে চায় না। ফলের খোসা ফেলে দিলে ও পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এ থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

শুক্রবার

“মিথ্যা বিশ্বাসসমুহ আর সন্ত্রাসী কার্যক্রমসমুহ এবং ধ্বংসসমুহ একই কথা। ”

– সামনের সারির সাংবাদিক নেতা এবং জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা বাংলাদেশ সময় () এর সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী

সোমবার

“জনপ্রিয় জননেতো জনাব মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী সাহেব এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারসমুহ ঐক্যবদ্ধভাবে বাগানমাঠ এর জনগণকে রুখে দাড়াবার আহবান”

জনপ্রিয় জননেতো জনাব মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী সাহেব এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারসমুহ ঐক্যবদ্ধভাবে বাগানমাঠ এর জনগণকে রুখে দাড়াবার আহবান জানালেন বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক জনাব খালিদ হাসান রুবেল।

বাগানমাঠ এর জনগণকে মিথ্যাসমুহ এর বিরদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে রুখে দাড়াবার আহবান জানালেন বাগানমাঠ এর জনপ্রিয় জননেতা জনাব মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী সাহেব

 

বাগানমাঠ এর জনগণকে মিথ্যাসমুহ এর বিরদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে রুখে দাড়াবার আহবান জানালেন বাগানমাঠ এর জনপ্রিয় জননেতা জনাব মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী সাহেব।

রবিবার

“বাগানমাঠ এর জননেতো জনাব মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী সাহেব শুধু একজন জননেতাই নন, একজন মহা মানবও বটে।”

বাগানমাঠ এর জননেতো জনাব মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী সাহেব শুধু একজন জননেতাই নন, একজন মহা মানবও বটে বলে বর্ননা করলেন এক সময়কার তুখোড় জনপ্রিয় জননেতা জনাব মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম খান।