বুধবার

ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ বা উপসর্গগুলি কি কি দয়া করে বিস্তারিত জানবেন কি?

 

 

ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ বা উপসর্গগুলি কি কি দয়া করে বিস্তারিত জানবেন কি?

 

ধ্বজভঙ্গের কারণ সমূহ :-

ধ্বজভঙ্গ পুরুষের জন্য একটি মারাত্মক, কঠিন ও জটিল রোগ। হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সঙ্গম, আঘাত প্রাপ্তি, বহুমূত্র, সিফিলিস, গনোরিয়া, পুরাতন অন্ডকোষ প্রদাহ, দীর্ঘকাল যাবৎ অজীর্ণ রোগ, স্নায়বিক রোগ ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণটি দেখা দিতে পারে। ইহাতে সন্তান উত্পাদন শক্তি লোপ পায়। অনেক চিকিত্সা বিজ্ঞানী ইহাকে রোগ বলে অভিহিত করতে চান না। ইহা যে কোন কঠিন জাতীয় পুরাতন রোগের লক্ষণ বিশেষ বলে তারা মনে করেন। পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌনতার স্থায়ীত্ব কম বেশি হয় কারণ তার দেহের হরমোনের ক্রিয়ার কম বেশি অবস্থা ঘটে। যৌন উত্তেজনা ও যৌন স্থায়ীত্ব কম হাওয়াই ধ্বজভঙ্গের লক্ষণ নয়।

 

 

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তার যৌন ক্ষমতা ঠিকই আছে কিন্তু মানসিক কারণে বা হীনমন্যতার জন্য ধ্বজভঙ্গ ভাব প্রকাশ পায়। অনেকেই যৌবন কালে কম বেশি বীর্য ক্ষয় করে থাকে এবং নানা প্রকার কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করে বীর্য ক্ষয় করে তাদের মনে তাদের মনে অনেক সময় একটা ভুল ধারণার সৃষ্টি হয় যে তারা ধ্বজভঙ্গে আক্রান্ত, তার যৌন ক্ষমতা বোধ কম এমন একটা দুর্বলতা বিশেষ করে মানসিক দুর্বলতা তার মনে সৃষ্টি হয়। আবার কোন কোন সময় যৌন ক্ষমতা সামান্য কম হলে সে মনে করে তার যৌন ক্ষমতা নেই – ইহাও একটি ভুল ধারণা ।

 

অনেক সময় পুরুষের পেনিস সামান্য ছোট বড় হতে পারে, ইহা প্রকৃতির নিয়মে অথবা বংশগত ধারায়। কিন্তু ছোট বলে অনেক পুরুষ মনে করে যে সে যৌন কার্যে অক্ষম এবং তার ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়েছে – এটাও ভুল ধারণা । বেশি পরিশ্রম, পুষ্টির অভাব, দেহে উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিন প্রভৃতির অভাব হলেও এটি হতে পারে।

প্রকৃত ধ্বজভঙ্গ রোগ এবং জন্মগত ভাবে ধ্বজভঙ্গ রোগ এই দুই শ্রেণীতে ইহাকে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। মানসিক বা দৈহিক কারণে যদি এই রোগ হয় তবে তাকে প্রকৃত ধ্বজভঙ্গ বলা যায়। আবার যদি জন্মগত ভাবে হয় তখন তাকে ধ্বজভঙ্গ রোগ বলা যায়। মানসিক বা দৈহিক কারণে এই রোগ হলে তার ট্রিটমেন্ট করা যায় কিন্তু জন্মগত ভাবে হলে তার চিকিত্সা করে আরোগ্য করাটা বেশ কঠিন। এবার আসুন প্রকৃত এবং জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের ক্ষেত্রে কি কি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা দেখি :-

 

 

জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ:-

যৌবন আগমনের সঙ্গে পুরুষোচিত গুনাবলীগুলি যথাযথ ভাবে বিকাশ লাভ করে না। মানুসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। সর্বদাই হীনমন্যতা ও দুর্বলতার ভাব প্রকাশ পায়।
যৌবনের গুনাবলী ঠিক যে সময় যৌবন ভাব প্রকাশ পাওয়া স্বাভাবিক সেটা দেখা যায় না এবং যৌনতার ভাব যথাযথ ভাবে বিকাশ লাভ করে না। দেহের নানা হরমোনের অভাবে এবং স্নায়ুবিক অক্ষমতার কারণ হিসাবে দেখা দেয়।
যৌবন আগমন হলেও যৌনইন্দ্রিয়ের কোনো উত্তেজনা থাকে না। পেনিস ঠিক মত শক্ত হয় না। কখনো কখনো অতি সামান্য দু’এক ফোটা বীর্যপাত হয়।
সর্বদাই এদের চরিত্রে নারী সুলভ ভাবভঙ্গি প্রকাশ পায়। অদ্ভুদ ধরনের হাবভাব প্রকাশ পায় যা সাধারনত কোন পুরুষের মধ্যে থাকে না।
এদের যৌন উত্তেজনা, পেনিসের উত্থান, বীর্যপাত প্রভৃতি কিছুই দেখা যায় না। আচার আচরণে বোকামি প্রকাশ পায়, মানুষের কাছে হস্যম্পদ হয়ে থাকে এবং অনেক সময় মানুষ তাদের নিয়ে উপহাস ও কৌতক করে থাকে।

 

 

মানসিক বা দৈহিক ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ:-

অন্যের যৌন ক্ষমতা বেশি এবং নিজের কম এই ভেবে অনেক সময় মানসিক দুর্বলতা দেখা দেয়।
যতটা দৈহিক বীর্য ক্ষয় হয় ততটা খাদ্য ঠিক মত পায় না। উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিন প্রভৃতির অভাব, পেটের রোগ এবং অন্য কোন রোগে ভোগা।

হরমোন ক্রিয়ার কম বেশির জন্য, দীর্ঘকাল যাবৎ বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন অথবা জন্মগত বা পৈত্রিক সূত্রে অনেকের পেনিস একটু ছোট হলে এর জন্য হিনমন্যতায় ভোগে।
অনেক সময় আদৌ রোগ নয়, শুধু মাত্র মানসিক কারণেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। তারা প্রকৃতপক্ষে যৌনতায় সুস্থ কিন্তু কৃত্রিমভাবে বীর্যক্ষয় করার কারণে ধ্বজভঙ্গের সন্দেহ করে এবং এই সন্দেহের জন্য নিজেকে ধ্বজভঙ্গ রোগী মনে করে থাকে।
অনেকের ক্ষেত্রে যৌন হরমোন বা অন্য কোন গ্রন্থির হরমোন সমান্য কিছু কম নিঃসরণের জন্য যৌন উত্তেজনা কিছুটা কম হতে পারে কিন্তু যথাযথ ট্রিটমেন্ট করলে হরমোনের এই গোলযোগ ঠিক হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে মানসিক দুর্বলতা অনেক সময় প্রকাশ পেয়ে থাকে।

রোগ নির্ণয় :-

স্ত্রী সহবাসের সময় পেনিসের উত্থান হয় না অথবা সামান্য মাত্র উত্থান হয়ে আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রুত বীর্যপাত অর্থাৎ বীর্য ধারণের সময় যতটা হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম। পেনিসে উত্তেজনা দেখা যায় না আর হলেও অনেক কম। বীর্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তরল হয়। বীর্যপাতের পর অস্বাভাবিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। বীর্য এতটা পাতলা যে দেখতে জলের মত।

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন