আমার সম্পর্কের ছয় মাসের মধ্যে আমার প্রেমিক আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এর কিছুদিন পর ওর ভেতর আমি পরিবর্তন দেখতে পাই, তখন আমি ওকে বিয়ের কথা বলি। ও আমাকে বলে যে সে ওর পরিবারকে বলেছ কিন্তু পরিবার মানছে না। অন্য দিকে সে ওর বন্ধুদের বলেছে ওর ক্যারিয়ার গড়ে ওঠার আগে ও বিয়ে করতে পারবে না। ওর দুই রকম কথা।
দুমাস আগে আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু আমি আমার সব দিক থেকে চেষ্টা করেছিলাম সম্পর্কটি রাখতে, এখনও চেষ্টা করছি। আমি ওকে অনেক ভালোবাসি এবং ওকে জীবনে চাই। আমার প্রতি ওর যে রকম অনুভূতি ও আকর্ষণ ছিল সেটা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়? ওকে কীভাবে জীবনে ফিরে পাব সেই কৌশল জানতে চাই। আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন। এ অবস্থায় আমার কী করা উচিত?
উত্তরঃ একদম মন থেকে সত্য বলি আপু- আপনার চিঠি পড়ে একজন নারী হিসাবে ভীষণ লজ্জিত বোধ করছি। আমাকে একটি কথা বলুন তো আপু, আপনি কোন দিক দিয়ে কম যে একটি ছেলে আপনাকে না চাইলেও আপনি তাঁকে চান? কিংবা আপনার কী কম আছে যে ওই ছেলে আপনাকে ছেড়ে ভালো থাকতে পারলেও আপনি পারবেন না? কোন দিক দিয়ে সে আপনার চাইতে সেরা যে চলে বলে কৌশলে আপনার তাঁকে পেতেই হবে? নিজের কোন মূল্যই কি আপনার কাছে নেই? এতই তুচ্ছ আপনি?
দেখুন আপু, প্রেমে শারীরিক সম্পর্ক কোন এক তরফা জিনিস নয়। বেশিরভাগ মেয়েই বলে- প্রেমিক আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি সুযোগ না দিলে প্রেমিক করে কীভাবে? আপনি তাঁর সাথে জোর করার মতন পরিবেশে না গেলে সে জোর করেই বা করবে কীভাবে? আর অনুমতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে। প্রেমিক যদি আপনাকে ধর্ষণ করেই থাকে, তাহলে সে প্রেমিক হয় কীভাবে আর তাঁর জন্য এত কান্নাই বা কেন?
আর সবচাইতে জরুরী আপু, সম্পর্ক কোনদিনও জোর করে ধরে রাখা যায় না। কাউলে জোর করে বিয়ে করা গেলেও তাঁর ভালোবাসা পাওয়া যায় না। কাউকে ভালোবেসে জীবন কাটে না। সুখে থাকার জন্য ভালোবাসা পাওয়াটাই সবচাইতে বেশি জরুরী। জীবনে আরও বড় কোন ভুল করে বসার আগে দয়া করে আমার কথাগুলো ভেবে দেখবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন-
রুমানা বৈশাখী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন