মঙ্গলবার

ও হুমকি দিচ্ছে আমার স্বামীর কাছে ফোনালাপ আর আগের গোপন ছবি দিয়ে দেবে…

 

আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, তখন একটি ছেলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। আসলে ওর চেষ্টাতেই আমাদের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ হয়। এক সময় আমি আমার জীবনের এবং পরিবারের সব কথা ওর সঙ্গে শেয়ার করতে থাকি। ভালো মনে হতো ওকে, ভালো লাগতো। সবাই মনে করত ওর সঙ্গে আমার প্রেম। আমাকে নাকি ও সেই প্রথমবর্ষ থেকেই পছন্দ করতো, কিন্তু আমি জানতাম না। ও আমাকে তৃতীয় বর্ষে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু আমি তা মেনে নিইনি। কিছুদিন যাবার পর ও আমাকে নানা ভাবে বোঝাতে থাকে। একসময় আমি সম্পর্কে জড়িয়ে যাই কিন্তু আমি ওর ব্যাপারে মোটেই সিরিয়াস ছিলাম না। আমি ওর প্রস্তাবে রাজি হই চতুর্থবর্ষে। এক প্রকার ওর কারণেই এ সম্পর্কটি শুরু হয়েছিল।

 

কয়েকদিন যেতে না যেতে আমি বললাম যে- আমি প্রেম করতে পারব না। ওকে বুঝিয়ে বলি, কিন্তু ও আমাকে ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়ে বাড়িতে চলে যাবার কথা বলে, আরও বলে যে যাবার আগে যেন দেখা করে যাই। এটা বলে রাখা ভালো আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। আমার এসব ভয় লাগত। কিন্তু ক্যাম্পাসে দেখা হতো, আমরা গল্প করতাম। ফোনেও কথা হতো। তো যেদিন দেখা করতে গেলাম, ওই দিন ও না চাওয়া সত্ত্বেও আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে ছবি তোলে। ওর সঙ্গে আমার ফোনেই বেশি কথা হতো। আমাকে ও জোর করে দুবার চুমু খেয়েছে গালে।

পরে আমার বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু ও আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য পাগল হয়ে ওঠে। আমি দেখা না করায় ও আমার ফেসবুকে ওর আর আমার একটি ছবি দেয়। ঘটনাক্রমে ছবিটা আমার স্বামী পায়। তিনি আমার ব্যাপারে অনেক খারাপ কথা বলে আর আমার মা-বোনকে বিষয়টি জানায়। আমি সবার কাছে ছোট হয়ে যাই। কিন্তু আমার ওই বন্ধুটা আমার পরিবারকে বলে- আমি নাকি ওর গায়ে পড়েছি, আমি রাস্তার মেয়ে এবং আমি নাকি ওকে ব্যবহার করেছি! তাছাড়া ও হুমকি দিয়েছে যে আমার সব ফোনালাপ আর ছবি আমার স্বামী এবং স্বামীর পরিবারকে জানাবে।

আমার সঙ্গে বাড়ির কেউ আর আগের মতো কথা বলছে না আর সবাই আমার দাম্পত্য জীবন নিয়ে চিন্তিত। আমি খুব মানসিক সমস্যায় আছি; তাছাড়া আমার মাঝে মধ্যে আত্মহত্যা করতে মন চাইছে। আমার ভুলের জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু ও আমার পিছু ছাড়ছে না। এ সব কিছুর জন্য বাসায় অনেক মার খেয়েছি। তারাও আমাকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। আমি কী করব? আমি আর নিতে পারছি না। যেকোনো সময় আমি আত্মহত্যা করতে পারি।

সুইসেট কোন সমাধান না। মনে রাখবেন আপনি যদি মুসলিম হুন অনন্তকালের জন্য দোযগে যাবেন। অাত্বহত্যা যারা করে তারা জাহান্নামি হয়। এবং যে রকম ভাবে অাত্বহত্যা করবেন পরকালে সে ভাবে বার বার করতে থাকবেন। তাই বলতেছি এই রকম বাজে চিন্থা বাদ দিন।
আর হ্যা।
আপনি বলতেছেন তার সাথে তেমন সম্পর্ক নাই। ছবি ও ফোনালাপ কে ভয় করতেছেন তা যদি এমন অতি নুংরা না হয়। মন কে শক্ত করুন।
আর হ্যা।
আপনি যদি মুসলিম হুন ধর্মবোন হিসাবে আরেক টা কথা বলি আপনার হাজবেন্ট যদি না চায় তাইলে চলে আসুন। আর এমন কোন ব্যাক্তি কে গ্রহণ করুন যে আপনাকে বুঝতে পারবে।
তার পূর্বে আপনি হাজতের বা বিপদের নামাজ পড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে সমধাণ চান।
নিশ্চয় সমধান হবে। আমি নিজেও এই রকম করি।
আর একটি কথা আপনার স্বামীজি ও একেই পথের পথিক।
বিশ্বাস না হলে আপেক্ষা করুন।

আপনার চিঠি আর লিখার সাথে সমস্যার বিস্তার ফারাক আছে যা আপনি গুপন করছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন