বুধবার

বীর্যপান করলে কি কোন সমস্যা আছে?

 

 

যদি আমার স্ত্রী আমার বীর্যপান করে তাহলে কি কোন সমস্যা আছে?

 

উঃ স্ত্রী বীর্যপান করলে, কোন সমস্যা নেই। আপনার যদি কোন যৌনরোগ না হয়ে থাকে তবে নির্দ্ধিয়ায় আপনার স্ত্রী বীর্যপান করতে পারেন, তাতে ওনার কোন ক্ষতি হবেনা। বীর্যে মূল উপাদানসমূহ হল জল, প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, কিছু মিনারেল যেমন দস্তা, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। কাজেই বীর্য স্বাস্থের পক্ষে মোটেই ক্ষতিকারক নয়। তবে জোর করে বীর্য পান করাতে যাবেন না। বীর্যের স্বাদ সকলের ভালা নাও লাগতে পারে। আপনর স্ত্রীর বীর্যপান করতে ভাল লাগলে তবেই ওনাকে বীর্য পান করতে দিন। জোর করে ওই কাজ করালে দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপ হয়ে মানসিক অশান্তি হতে পারে।

বীর্য খাওয়া
মানুষের বীর্য খাওয়ার কিছু কারণ হচ্ছে প্রেমমূলক পরিতৃপ্তি, শারীরিক সুবিধা এবং আধ্যাত্মিক।

বীর্যপানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
একজন সুস্থ পুরুষের বীর্য খাওয়ায় নারীদের কোন ঝুঁকি নেই। মুখমৈথুনের মাধ্যমে আসা ঝুঁকি ছাড়া বীর্য খাওয়ায় অন্যকোনো ঝুঁকি নেই। মুখমৈথুন কিছু যৌনবাহিত সংক্রমণ যেমনঃ এইচপিভি অথবা হার্পিসের ঝুঁকি বহন করে বিশেষত মুখমৈথুনকারীর মাড়ির রক্তপাত, মুখে খোলা ক্ষত জনিত রোগ থাকলে।

 

 

বীর্যপানের দৈহিক সুবিধা
গড় বীর্যপাত (৩.৪ মিলি) অনেক পুষ্টি উপাদান যেমন দস্তা, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম সেই সাথে ভিটামিন বি১২ রয়েছে। সীমিত গবেষণায় দেখা গেছে বীর্য খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ইতিবাচক।

কিছু মহিলার দেহে অ্যান্টিবডির কারণে বন্ধ্যাত্ব, খিচুনি এবং মৃত সন্তান হয়। ওরাল সেক্স এবং বীর্য খাওয়ার মাধ্যমে মহিলারা তার সঙ্গীর এন্টিজেন খেয়ে নেয় যা অধিকতর নিরাপদ ও সফল গর্ভধারণে সাহায্য করে।

বীর্যপান করলে মহিলাদের হতাশা দূর হয় এমন কোনো প্রভাব আছে কিনা তা নিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো হয়নি। কিন্তু বীর্যে মহিলাদের মনচাংগা করার বেশ কিছু যৌগ যেমনঃ এন্ডোফ্রিন, এস্ট্রন, প্রলাক্টিন, অক্সিটসিন, থাইরোট্রপিন-রিলিজিং হরমোন এবং সেরোটোনিন আছে। তবে মহিলাদের যোনির মাধ্যমে বীর্য গ্রহণে এই হরমোনগুলোর প্রভাব শুধুমাত্র লক্ষনীয় তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন