April 28 লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
April 28 লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার

হিজরা সন্তান কেন হয় , জেনে নিন

 

 

হিজড়াদের মধ্যে না পুরুষের পূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, না নারীদের। এ মিশ্র বৈশিষ্ট্যের কারণে সমাজে তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যদিও হিজরা সম্প্রদায় বাংলাদেশে এখন তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তবুও তাদের অসহায়ত্বের শেষ নেই। হিজরা সম্প্রদায় বঞ্চিত নানা নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে। সমাজে স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ না পেয়ে এসব হিজড়ারা একসময় জড়িয়ে পড়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও দেহব্যবসার মতো পেশায়। কিন্তু কেন হয় হিজরা সন্তানের জন্ম? আসুন দেখি বিজ্ঞান কী বলে:
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় XX প্যাটার্ন ক্রোমোজমে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন ক্রোমোজমে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। অর্থাৎ, X এর সঙ্গে X এর মিলনে মেয়ে এবং X এর সঙ্গে Y এর মিলনে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এবং নারীরা XX ও ছেলেরা XY ক্রোমোজম ধারণ করে। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজরা শিশুর জন্ম হয়।

 

একটা ব্যাপার হল, একটি হিজরা শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।

 

 

গর্ভের সন্তান বেশি নড়াচড়া করা কি কোনো সমস্যা?

 

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বেবির ৬ মাস হলে মাথা ও পা পেটের কোনদিকে থাকে? বেবি খুব বেশি নড়াচড়া করলে কি সমস্যা হয়?

 

গর্ভের সন্তান নড়াচড়া করা একটি স্বাভাবিক ব্যপার। যেকোনো সুস্থ বাচ্চা পাঁচ মাসের পর থেকে জন্মের আগ পর্যন্ত পেটের মধ্যে নড়াচড়া করে থাকে এবং এসময় বাচ্চাদের অবস্থান থাকে ফ্লোটিং বা ভাসমান অবস্থায়। সাত মাসের পরে বাচ্চা একটি সুনির্দিষ্ট অবস্থান এ চলে আসে যা সাধারণত পরিবর্তন হয় না।

 

তারপর ও আপনার যদি জানার কিছু থাকে তাহলে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর সংগে যোগাযোগ করবেন। ধন্যবাদ পরামর্শ দিয়েছেন : সুলতানা পারভীন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পাবনা সদর ,পাবনা।

 

 

সন্তান নেওয়ার আগে যে খাবারগুলো খাওয়া দরকার

 

সন্তান ধারণে দেরি হওয়া কিংবা সন্তান একেবারেই না হওয়া আজকাল খুব সাধারণ একটি সমস্যা, নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। আমাদের স্ট্রেস ভরা জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল, পরিবেশ দূষণ, ভেজাল খাদ্য, শরীরের যত্নের অভাব ইত্যাদি নানান কারণে সন্তান ধারণে অক্ষমতা দেখা যায় আজকাল। দেখা যায় অনেক মাস বা বছর চেষ্টার পর, নানান রকম চিকিৎসা করিয়ে তবেই সন্তান নিতে পারেন কোন দম্পতি। আপনিও কি এমন সমস্যায় ভুগছেন?

সন্তান নিতে চাইছেন কিন্তু হচ্ছে না? নারী-পুরুষ উভয়েই নিজের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো। এই ৭টি খাবার উর্বরতা বৃদ্ধি করে, নারীকে গর্ভবতী হতে সহায়তা করবে এবং পুরুষের জন্য সুস্থ বীর্য উৎপাদন করবে।

চিনে নিন সেই উপকারী খাবারগুলো।

১) কলা
সুপারফুড কলায় আছে ভিটামিন বি-৬ ছাড়াও আরও বেশ কিছু চমৎকার উপাদান, যা নারীদের মিন্সট্রেশন নিয়মিত রাখে। যারা সন্তান ধারণে চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য নিয়মিত একটি বা দুটি কলা খাওয়া ডিম্বাণু ও শুক্রানুর মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

২) বাদাম
পুরুষের শুক্রানুর মান উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে হরেক রকমের বাদাম। বিশেষ করে কাঠ বাদাম, চীনা বাদাম, পেস্তা ইত্যাদি। টানা ১২ সপ্তাহ প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খান্ম নিশ্চিত ফল পাবেন।

 

৩) অলিভ ওয়েল
নিজেদের খাবারে তেল বা ঘি এর বদলে আজ থেকেই শুরু করে দিন অলিভ ওয়েলের ব্যবহার। এই তেল রোজকার খাবারে নিয়মিত ব্যবহার করলে উর্বরতা ও গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে ৩ গুণ পর্যন্ত। নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতা বাড়াতেই এই তেল অত্যন্ত সহায়ক। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল ব্যবহার করবেন।

৪) সূর্যমুখীর তেল
এতে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই, যা উর্বরতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত সহায়ক। রান্নায় ব্যবহার করুন।

৫) অ্যাভোকাডো
শত গুণে ভরপুর এই ফলটি কেবল মজাদারই নয়, বরং উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। এই ফল নিয়মিত খেলে জননাঙ্গের ফাংশন উন্নত হয় এবং নারীদের সুস্থ ডিম্বাণু তৈরির হার বাড়ে।

৬) আদা
আদা যে কোন রূপেই পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। নারীরা অধিক উপকারিতা পেতে রোজ দুই কাপ পর্যন্ত আদা চা পান করুন মধু মিশিয়ে।

৭) ফ্লাক্স ওয়েল
এটা আরেকটি উপকারী তেল, যাতে আছে প্রচুর অমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। প্রতিদিন খাবারে ১ টেবিল চামচ ব্যবহার করুন বা এমনিতেও খেতে পারেন।

 

 

 

দুই সন্তানের জননী মেজ আপু, অন্য ছেলেদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছে…

 

 

আমরা ৪ বোন, দুই ভাই। বড় আপুর বিয়ে অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে (১৯৮৯ তে)। আমার বড় আপুর ২ মেয়ে, ২ ছেলে। উনার স্বামী একজন স্বার্থপর মানুষ। নিজের স্বার্থের জন্য আমার বাবার কাছ থেকে সব জমি নিয়ে গিয়েছে আর এখন উনি অনেক ধনী, আমাদের থেকে বেশি। আর আমরা ৩ বোন কিছুই পাইনি। আমার বড় দুই ভাই জমি পেয়েছে।

 

আমার মেঝো আপুর বিয়ে হয়েছে ২০০০ সালে। ওর স্বামী একটু লোভী কিন্তু বুঝতে দেয়না আমার আপু। আমার মেঝো আপুকে অনেক জ্বালিয়েছে। মেঝো আপুর ১ মেয়ে, ১ ছেলে। আমার বড় ভাইয়া ২০০৭ সালে বিয়ে করেছে কিন্তু ওর বউটা অনেক শয়তান। ভাবীর পরিবার গরীব বলে সে তার বাবার পরিবারে খরচ দেয় আর আমার ভাইয়াকে নিয়ে থাকে তার বাসায়। আমার ভাইয়াও কিছুই বলেনা ওর বউকে। কারণ আমার বড় ভাইয়াও এই জন্য অন্য মেয়েদের নিয়ে থাকে। আর আমার বাবার বাসায় আমার ছোট বোন একাই থাকে আর আমার মা বাবা গ্রামে থাকে । কারণ আমাদের ঢাকায়ও অনেক কিছু আছে, গ্রামেও আছে।

আপু, আমার মেঝো আপুর সাথে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ রিলেশন ছিলো। আমি সবসময় ওর সাথে সবকিছু শেয়ার করতাম। ও খুব ভালো ছিলো আর ওর শ্বশুর শাশুড়ির জন্য অনেক কিছু করেছে, সবার জন্যই করে। কিন্তু ওর একটা সমস্যা হচ্ছে ও সবার কথা সবাইকে বলে ঝগড়া বাধায়। আমাদের পরিবারে বেশি করে এটা সবার কাছে ভালো থাকার জন্য। আমি সবকিছুই বুঝতে পারি অনেক দিন পর। আমার পরিবারে সবার সাথে সবার ঝগড়া বাধায় ও। কিন্তু আমার আপু নিজের বাড়ী করার পর কেমন যেন একটু খারাপ পথে চলে গিয়েছে।

২০১৩ সাথে ওর বাড়িতে উঠেছে। তারপর ও ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করে। এরপর থেকে ও কেমন যেন হয়ে যায়। হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলে এবং ছেলেদের বাসায় আসতে বলে। ওর ছোট ছেলে নিজে দেখে এই ব্যাপারটা। ওর ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ে। একদিন ওর ছেলে আমার ছোট বোনকে সব বলে দেয় এবং এও বলে যে ওর মাকে ওর মা বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়না এবং আমাদের ধরিয়ে দিতে বলে। ও ওর বাবাকে বলে দিতে চায় কিন্তু ওকে মেজ আপু মারে, পরে ওকে লোভ দেখায়। আমি আগস্টে আপুর বাসায় যাই কদিন থাকবো বলে, কিন্তু ওর মন খারাপ হয়। পরে আমার চোখের আড়ালে ও এই কাজগুলো করে আমাকে অন্য বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে। ও রাতে করে এই কাজগুলো।

 

 

পরে আমি আমার ছোট বোন আর মা কে জানাই। আপু ওর স্বামীর সাথে সবসময় ঝগড়া করে। ওর চলাফেরা এবং এলাকার কিছু বাজে মানুষের সাথে মেশা নিয়ে ওদের ঝগড়া হয়। আমি সমাধান দেই। কদিন পর আবারো ঝগড়া হয় এই কাজগুলো নিয়ে, ওর মেয়ে ছেলে আমাকে জানায়। ওর মেয়ে ক্লাস এইটে পড়ে। তারপর আমি কিছু না পেয়ে আমার ছোট বোনের সাথে কথা বলে তারপর মেজ আপুর স্বামীকে বলে দেই এবং উনিও আমাকে অনেক কিছু বলে। তাকে বলতে মানা করি কিন্তু সে ৩ দিন পর আমার মেজ আপুকে বলে দেয়। তারপর আমার মেজ আপু, আমার ছোট বোনকে কল করে অনেক বকাঝকা করে। তারপর আমাকে বকে কিন্তু আমি বকার আগেই ওর বাসা ছেড়ে আমার বাবার বাসায় চলে আসি। এখন আর ৩ মাস ওর সাথে কোন কথা হয়না।

 

আমরা ওর ভালো চাই কিন্তু সুযোগে আপুর হাজব্যান্ড, আপুর সাথে ঝগড়া বাধিয়ে দিলো। এখন আমার আপু আমার বাবার বাসায় আসেনা, ওর ছেলে মেয়েকেও আসতে দেয়না। আর এখন আমার পরিবারের সবার কাছে আমার আর আমার ছোট বোনের নামে উলটা পালটা কথা বলে। এখন কী করা যায় আপু? আমরা ঝগড়া চাইনা। আমরা চাই আমার আপু ঠিক হয়ে যাক এবং আবার যেন সব ঠিক হয়ে যায়।

 

উত্তরঃ দেখুন আপু, আমি যা বলবো সেটা আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। আপনার চিঠির অনেক কিছুই আমার অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছে, কারণ লেখার শুরুতেই আপনি পরিবারের প্রতিটি মানুষের নামেই দুর্নাম করেছেন। বড় ভাই, ভাবী, বড় বোন, দুলা ভাই কাউকে বাদ দেন নি। ব্যাপারটি এমন যে পৃথিবীর সবাই খারাপ, যা কোনভাবেই সম্ভব না। তাই আপনার মেজ আপুকে নিয়ে যা লিখেছেন, সেটাও আমার অতিরঞ্জিতই মনে হচ্ছে। যেমন , আপনি লিখেছেন যে আপনার বোন রাতে এসব করে, অর্থাৎ অন্য ছেলেদের বাসায় আনে। প্রশ্ন হচ্ছে, রাতে যদি তিনি এসব করেন, তাহলে তাঁর স্বামী কই থাকে? রাতের বেলা যেহেতু, স্বামীর তো বাসায়ই থাকার কথা। তাই না? যদি স্বামী বাসায় না থাকেন, তাহলে রাতের বেলা থাকেন টা কই নিজের স্ত্রী পরিবার ফেলে?

একটি সোজা সাপটা কথা বলি, আপনি ইতিমধ্যেই পরিস্থিতিটি জটিল করে তুলেছেন বেশি বুঝতে গিয়ে। দয়া করে আর করবেন না। আপনার এবং আপনার ছোট বোনের কোন অবস্থাতেই উচিত হয়নি মেজ বোনের দাম্পত্য জীবনে নাক গলানোর। আপনারা মেজ বোনের দোষটাই দেখছেন, তাঁর স্বামী হয়তো আরও বড় কুকর্ম করে থাকতে পারে সেটি আপনাদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। পরকীয়া ১০০ ভাগ নিন্দনীয় একটি কাজ, কিন্তু সেই পরকীয়া আপনার বোন ও তাঁদের মধ্যেকার একান্তই ব্যক্তিগত একটি সমস্যা, যা তাঁরা প্রাইভেটলি মীমাংসা করবেন। ছোট বোন হয়ে এসবের মাঝে কথা বলতে যাওয়াটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সব দিক দিয়েই। এটা আপনার কথা বলার স্থান নয়।

আপনাদের উচিত ছিল বোনের বাচ্চাদের কথাগুলো আপনার মাকে জানানো। এবং মাকে দিয়ে বা বড় বোনকে দিয়ে মেজ বোনের সাথে গোপন আলোচনা করা যে তাঁর বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে। তাতে কাজ অলেও হতে পারত। আপনারা কথা বলায় ও তাঁর স্বামীর কাছে চুগলী করায় বোনের ইগো হার্ট হয়েছে, এখন তিনি আপনাদের কথা আর শুনবেন বলে মনে হয় না। আর যে মা পরকীয়ার জন্য ছেলেকে মারতে পারে, সে এটা নিয়েও চিন্তা করবে বলে মনে হয় না যে তাঁর কর্মে বাচ্চারা আঘাত পায়। এখন যা করার আপনার দুলাভাইকেই করতে হবে। আপনার মাকে দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলতে বলুন। চিৎকার আর মারামারি করে কখনো পরকীয়ার রাস্তা থেকে সইর‍্যে আনা যায় না। শাসনের সাথে সাথে ক্ষমা করার মানসিকতা ও আবারও ভালবাসতে পারাও জরুরী। তাছাড়া বোন দুলাভাই সংসার টিকিয়ে রাখতে চায় কিনা, সেই সিদ্ধান্তও তাঁদেরকেই নিতে হবে।

আবারও বলছি, ব্যাপারটা খুব স্পর্শকাতর। ছোটদের এটা থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।

 

 

 

সন্তান হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে আবার গর্ভধারণ করতে চাই, সহবাসের সঠিক সময় কোনটি?

 

 

যদি প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার ৪০ দিনের মধ্যে আবার গর্ভধারণ করতে চাই, তাহলে সহবাসের সঠিক সময় কোনটি? আমার প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার একদিন পর আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।

 

উত্তরঃ সাধারণত বাচ্চা হবার পর ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রাকৃতিকভাবেই গর্ভধারণ হয় না। গর্ভধারণ করতে পারবেন কিনা এটা নির্ভর করছে আপনার মাসিক আবার হয়েছে কিনা। মাসিক হলেই গর্ভধারণ সম্ভব। মাসিকের পর সাতদিন থেকে পরবর্তী মাসিকের সাতদিন আগে পর্যন্ত সাধারণত গর্ভধারণের সম্ভবনা বেশি থাকে। কারণ এ সময়ে ডিম্বপাতের সম্ভবনা বেশি। তবে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে গর্ভধারণ করবেন না। চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্য ঠিক না হলে পূর্বের খারাপ অভিজ্ঞতা কিন্তু আবারো হতে পারে। ধন্যবাদ

 

আপু আমার স্ত্রীর বাচ্চা হওয়ার পর তার কোন সেক্স নেই কি করলে সেক্স ফিরে আসবে?

 

আপু ভাল আছেন|আপু আমার বাচ্চার বয়স ৭ মাস|আপু আমার স্তী বাচ্চা হওয়ার পর তা কোন সেক্স নেই|এমন কি জোর করে সেক্স করতে হয়|এবং সেক্স এর সময় ও পরে প্রচুর যন্তনা করে ও কান্না কাটি করে| আপু কি করলে সমাধান হবে| প্লিজ বলেন|আপনার উওরের অপেখায় রইলাম|

 

উত্তরঃ নিম্নে পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধির িব্যাপারে আলোচনা করা আছে। ভালোভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন।

 

সেক্স  বাড়ানোর কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক অষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরন দেয়া হলঃ

Origanum marjorana : ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। আপনার চিকিৎসকের থেকে শক্তি ও মাত্রা বুঝে নিন নাহলে কোন ফল পাওয়া যায় না।

 

Moschus Moschiferus : ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Kali Bromatum : বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।

Staphisagria : পুরুষদের যৌন দুর্বলতা  সেক্স পাওয়ার বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Salix nigra : মাত্রাতিরিক্ত সেক্স , হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে। সোজাকথায়, এই ঔষধটি যাদের যৌনশক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাদেরটা বাড়িয়ে স্বাভাবিক করবে এবং যাদেরটা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেশী তাদেরটা কমিয়ে স্বাভাবিক করবে।

 

 

Sabal serrulata : সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Calcarea Carbonica : ক্যালকেরিয়া কার্ব সেক্স / যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum : যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Caladium seguinum : যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তারা ক্যালাডিয়াম খান।

Agnus Castus : সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Nux Vomica : নাক্স ভমিকা ঔষধটি সেক্স বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

 

Phosphoricum Acidum : সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।

Selenium : যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে অষুধ খাবেন না।

 

নিয়মিত যৌন মিলনে মহিলাদের সন্তানধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

 

নিয়মিত যৌন মিলন সন্তান লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তথাকথিত ‘নন ফার্টাইল’ পিরিয়ডেও যৌন মিলন লাভজনক। যৌনমিলনের ফলে শরীরে বিবিধ পরিবর্তন হয়। নতুন এক গবেষণা বলছে নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানসম্ভাবা হওয়ার পথ মসৃণ করে তোলে।
সন্তানপ্রার্থী যুগলদের ডাক্তাররা তাই নিয়মিত যৌন মিলনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
”গর্ভবতী হওয়ার জন্য মহিলাদের প্রয়োজন সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌনমিলন। এমনকি তথাকথিত ‘নন ফার্টাইল পিরিয়ড’-য় যৌনমিলন আবশ্যিক। যদিও কীভাবে এটি কাজ করে তা এখনও পরিস্কার নয়।” জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিয়েরনি লরেন্স।
তিনি জানিয়েছেন ”যৌনমিলন গর্ভধারণের জন্য মহিলাদের শরীরের অন্যক্রমতা বৃদ্ধি করে। এই ধরণের গবেষণা এই প্রথম।”
ফার্টাইল পিরিয়ড ছাড়াও অন্য সময়ের যৌন মিলন কীভাবে ফার্টিলিটি বৃদ্ধি করে সেই পুরোনো ধাঁধার নয়া উত্তর এই গবেষণা। মন্তব্য লরেন্সের।
মেন্ট্রুয়াল সাইকেল (মাসিক চক্র) চলাকালীন ৩০ জন সুস্থ মহিলার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে অর্ধেক নিয়মিত যৌন মিলন করেন। বাকি অর্ধেকের যৌন জীবন অনিয়মিত।

 

এই গবেষণার ফলাফল সংক্রান্ত দুটি পত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি ও ফিজিওলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার নামক দুটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম গবেষণা পত্রটিতে লরেন্স ও তাঁর সংকর্মীরা দেখিয়েছেন যৌন ভাবে সক্রিয় মহিলাদের হেল্পার টি সেলস ও সেই সমস্ত প্রোটিন যা টি সেল যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে তার সংখ্যা বেশি।

 

দ্বিতীয়টিতে তাঁরা এই দুই গ্রুপের মধ্যে অ্যান্টিবডি সংখ্যার পার্থকি চিহ্নিত করেছেন।
হেল্পার টি সেল শরীরের অন্যক্রমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সমস্ত কোষকে সক্রিয় করে তোলে যারা, বাইরে থেকে শরীর প্রবেশ করা অবাঞ্চিত মাইক্রোবসকে ধ্বংস করে।
লরেন্সের দাবি তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করেছে নিয়মিত যৌন মিলনের মত সামাজিক ব্যবহার শরীরের ইম্যুনসিস্টেমকে অনেক বেশি কার্যকরী করে তোলে।
যে মহিলারা নিয়মিত যৌন মিলনে লিপ্ত থাকেন সন্তান ধারণের জন্য তাঁদের ইম্যুনসিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয় ও কার্যকরী হয়।

 

 

বৃহস্পতিবার

সিজার করা ভালো নাকি নরমাল ডেলিভারি? জানুন

 

 

স্বাভাবিকভাবে দুইভাবে ডেলিভারি করানো হয় এক নরমাল ডেলিভারি দুই সিজারিয়ান। এখন প্রশ্ন হলো কোনটা বেশি ভালো?যদিও সিজারিয়ান করানো খুব সাধারণ ব্যাপার আজকাল, কিন্তু এটা একটা বড় অপারেশন তাই এর নিজস্ব কিছু ঝুঁকি থাকে। এজন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ ছাড়া ডাক্তার সিজারিয়ান করানোর পরামর্শ দেননা। গর্ভাবস্থায় কোন জটিল সমস্যা যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে ভ্যাজাইনাল বার্থ বা নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ। নরমাল ডেলিভারি শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই ভালো নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও ভালো।

 

কখনো কখনো মা ও বাচ্চার জীবন রক্ষার্থে সিজারিয়ান করতে হয়, সেই পরিস্থিতিতে প্রশ্নাতীত ভাবেই সিজারিয়ান করানোটা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ। আবার এমনও হতে পারে যে, আপনি কোন বিশেষ দিনে বিশেষ উপায়ে বাচ্চার জন্ম দিতে চান তখন ডাক্তার আপনাকে সিজারিয়ান করানোর পরামর্শ দেন। তবে আপনার এই সিদ্ধান্ত আপনার স্বাস্থ্য ও জীবনধারায় বিশেষ প্রভাব ফেলে।

বর্তমানে চারজনের মধ্যে একজন শিশু সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেয়। BBC ও Guardian এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

পরিকল্পিত সিজারিয়ানে মায়ের সুবিধা সমূহ-

· প্রসব বেদনা সহ্য করতে হয়না

· অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হয়না

· ভ্যাজাইনাল ইনজুরি হয়না

পরিকল্পিত সিজারিয়ানে মায়ের অসুবিধা সমূহ-

· অনেকদিন হাসপাতালে থাকতে হয়

· শিশুর জন্মের পরও ব্লিডিং হলে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভ অপসারণ করে ফেলতে হয় একে হিস্টেরেক্টমি বলে।

· হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

· ইউটেরাইন ইনফেকশন এর ঝুঁকি বাড়ে।

· ডেলিভারি অপারেশনের পরে ব্যাথা হয় যা প্রায় কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

· পরবর্তীতে সন্তান ধারণের সময় এক্টোপিক বা টিউবাল প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্লাসেন্টা অ্যাক্রিটা এবং প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন এর সমস্যাগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পরিকল্পিত সিজারিয়ানে বাচ্চার অসুবিধা সমূহ-

· ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখতে হয়

· শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা থাকে

· ব্রেস্ট ফিডিং এর অভ্যাস গড়ে উঠতে দেরি হয়

The Australian study তাদের এক গবেষণায় দেখেছে যে, সিজারিয়ান করানো মায়েদের মধ্যে মানসিক প্রতিকূলতার প্রভাব প্রাকৃতিক প্রসবের মায়েদের চেয়ে বেশি হয়। সিজারিয়ান করানো মায়েদের মধ্যে বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিডিং এ সমস্যা হতে পারে।

এবার আমরা জানবো প্রাকৃতিক প্রসবের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি –

· ভেজাইনাল বার্থ বা নরমাল ডেলিভারি অস্বস্তিকর ও কষ্টকর।

 

 

· নরমাল ডেলিভারি নোংরা মনে হতে পারে। শরীর থেকে অনেক ঘাম, অ্যামনিওটিক তরল, রক্ত এবং বাচ্চার জন্মের পর প্লাসেন্টা বা নাড়ি বের হয়।

· ভ্যাজাইনাল ইনজুরি হতে পারে। অনেক সময় সেলাই লাগতে পারে।

· নরমাল ডেলিভারি হলে মা কয়েক ঘন্টা পরই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক কাজ শুরু করতে পারে।

· ভালোভাবে বাচ্চার জন্ম হয়ে গেলে বাচ্চা শান্ত থাকে।

· বাচ্চার জন্মের পর মা শারীরিক ও মানসিক শক্তি লাভ করে। এর মাধ্যমে সে শান্তি ও অর্জনের বিস্ময়কর অনুভূতি পায়।

· বাচ্চার জন্মের পর বাচ্চাকে সাথে সাথেই ��াল দুধ খাওয়ানো সহজ হয় ফলে মা ও বাচ্চার সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

· নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চাকে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জন্ম নিতে হয় তাঁতে বাচ্চার ফুসফুস শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার জন্য প্রস্তুত ও শক্তিশালী হয়।

সফল ভাবে বাচ্চা প্রসবের জন্য যে কাজ গুলো করা প্রয়োজন এবং যে কাজ গুলো করা ঠিক না সেগুলো জেনে নেই আসুন।

১। প্রাকৃতিক ভাবে বাচ্চা প্রসবের জন্য একজন স্বাস্থ্য কর্মী বা ধাত্রীর প্রয়োজন। সান ফ্রান্সিস্কো এর ওয়াইজওমেনচাইল্ডবার্থ.কম এর সারটিফাইড প্রফেশনাল মিডওয়াইফ, লাইসেন্সড মিডওয়াইফ মারিয়া লরিলো পরামর্শ দেন, “প্রাকৃতিক ভাবে বাচ্চা প্রসবের জন্য একজন ডাক্তার বা দাই এর ব্যবস্থা করতে হবে যিনি পুরো বিষয়টাকে সুন্দর ও সফল ভাবে সম্পন্ন করাতে পারবেন”।

২। প্রসবের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিষ গুলো জীবাণু মুক্ত করে নিতে হবে।

৩। বিজ্ঞানীদের মতে সদ্যজাত বাচ্চার নাড়ীতে প্রচুর আয়রন থাকে যা জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে বাচ্চার শরীরে উৎপন্ন হয়না। তাই জন্মের অন্তত ২ মিনিট পরে নাড়ী কাটা ভালো যাতে শিশু অনেক বেশি আয়রন নিয়ে নিতে পারে।

৪। জন্মের সাথে সাথে বাচ্চাকে দূরে সরিয়ে না নিয়ে মায়ের বুকে নিলে বন্ধন দৃঢ় হয়।

৫। জন্মের পরপর বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে বুকের দুধ দিলে বাচ্চা এবং মা উভয়ের জন্যই ভালো। বুকের দুধ বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং মাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে, বাচ্চা ও মায়ের বন্ধন দৃঢ় হয়।

৬। বাচ্চার ডেলিভারির ব্যাপারে ভয়ংকর কিছু হতে পারে বা হয়েছে এমন কারো গল্প শুনবেন না বরং সব সময় ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করুন।

যুক্তরাজ্যের National Institute for Clinical Excellence এর মতে, ‘সকল মহিলাদেরই অধিকার আছে বাচ্চার জন্মের পদ্ধতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার। কিন্তু তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে তাঁদেরকে সাহায্য করার জন্য সঠিক পরামর্শ দেয়াও জরুরি’। মহিলাদের জন্য বাচ্চার ডেলিভারি করার দিনটা অনেক মোহনীয় ও স্মরণীয় একটি দিন। প্রসব বেদনা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি কষ্টের কিন্তু মা যখন তাঁর সদ্যজাত সন্তানের মুখ দেখেন তখন তাঁর সব কষ্ট ভুলে যান।

 

দেখুন কিভাবে সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়।সাবধান দুর্বল চিত্তের ব্যক্তিরা ভিডিওটা দেখবেন না

 

 

আমাদের স্ত্রীদের বাচ্চা ডেলিভারি কি সিজার ছাড়া উপায় নেই ?তাহলে কি ধরে নিব আমাদের দেশের সকল প্রসতি’রা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ???  মাত্র ৪ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে অপারেশন  ভিনদেশী ডাক্তার সিজার কি ভাবে করে দেখে নিন,  তবে বাংলা সিজার নিয়ে আমার ধারনা কম

আর কত দিন ??  আজকাল দেশে শুনা যাচ্ছে না নরমাল ডেলিভারি – শতকরা ৭০% সিজার,  কারন কি শুধু টাকাই ???

 

 

বিষয়টা হইলো সিজার ও নরমাল ডেলিভারি নিয়া! আপনি কখনও শুনছেন হলিউড বলিউডের কোনো নায়িকার সিজার কইরা বাচ্চা হইছে? আত্মীয় বন্ধু যারা ইউরোপ আমেরিকায় বউ নিয়া থাকে তাদের বউয়েরও সিজারে বাচ্চা হইছে শুনি নাই। ওদের বাচ্চা হইবার আগে গাইনি ডাক্তার আত্মা শুকানো ভয় দেখাইয়া বলে নাই পানি শুকায়া গেছে! নুচাল কর্ড (নার) প্যাঁচায়া গেছে! পজিশন উল্টায়া গেছে! বিশ্বের কোথাও দাঁড় করানো অজুহাতে পেট কাইট্টা বাচ্চা বের করেনা।
.
শুধুমাত্র বাংলাদেশে বাচ্চা জন্ম দিতে গেলে গাইনি ডাক্তারদের হাজারও অজুহাত! আপনেরে এমুন সব ভয় দেখাইবো যে, অনাগত বাচ্চার সামনেই কাল্পনিক কাঠগড়ায় দাঁড় করায়া দিবো! কইবো এ মুহুর্তে সিজার না করলে বাচ্চা বাঁচানো যাবেনা। দায় দায়িত্ব আপনার! এছাড়াও ডেলিভারি পেইন নিয়া ক্লিনিকে যাইবেন তো দিবো একটা ইঞ্জেকশন হান্দাইয়া। ব্যাথা শেষ! এইবার এ অজুহাতেও পেট কাটো!!
.
এখন ত আবার গাইনিওয়ালারা অজুহাতও দেখায় না। ডাইরেক্ট বইলা দেয় আমি নরমাল ডেলিভারি করাই না! কী আজব দেশ রে ভাই! এত সিজার ডেলিভারি বিশ্বের আর কোনো দেশে হয় কি?? অনেক মায়েরাও কম যায় না! আগেই চুজ কইরা ফালায় সিজারে বাচ্চা নিবে। একটুও কষ্ট সহ্য করবে না! এটা আরেক ফ্যাশন, ইস্টাইল!!
.
আজব এই দেশ! জন্ম নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার হার, বৃক্ষ রোপন, টিকা দান, শিশুমৃত্যু হার রোধ এসব কিছুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবুজ মার্ক পাইলেও সিজার ডেলিভারি নিয়া লাল দাগ খাইয়া বইসা আছে অনেক বছর।সরকার কিন্তু স্পিকটি নট!!! স্বঘোষিত নরমাল ডেলিভারি না করনেওয়ালা গাইনি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ওয়াজিব হয়া গেছে।
.
এক বন্ধুর কাছে শুনলাম আমেরিকাতে নাকি বাইশ ঘন্টা ডেলিভারি পেইনের পরেও ডাক্তার সিজার করে নাই। সুস্থ বাচ্চা হইছিল, মাও সুস্থ ছিল।
.
আমার পরিচিত এক গাইনি ডাক্তার (MBBS, DGO) পঁচানব্বই ভাগ নরমাল ডেলিভারি করাইতো বিধায় কোনো ক্লিনিক তারে নিতে চায় না। এই ডাক্তার এ ক্লিনিক ওই ক্লিনিক এ জেলা ওই জেলা ঘুইরা ঢাকার মিরপুরের এক অখ্যাত ক্লিনিকে থিতু হইছে। আমার কন্যার ডেলিভারি কিন্তু এ ডাক্তারের হাতেই হইছিল। নরমাল। সেকেন্ডবার বউরে আরও বড় ডাক্তার দেখাইলাম (MBBS, FCPS)। অজুহাত দেখাইয়া, ভয় দেখাইয়া পেট কাইটা দিলো!! -;)
.
এইবার আরেকটা সত্য ঘটনা (তাও ফেনীবাসি ডাক্তার বন্ধুর কাছে শোনা) বলি, ফেনীতে এক গর্ভবতী মহিলা প্রসব বেদনা নিয়া ক্লিনিকে ভর্তি হইছে। নার্সরা সাথে সাথে ওটিতে নিয়া গেছে এবং গাইনি ডাক্তাররে ফোন দিছে। ডাক্তার ফোনে কয়েকটা ইঞ্জেকশন দিতে নির্দেশনা দিয়ে জাস্ট দশ মিনিটের মধ্যে আইসা সিজার করবো বইলা ফোন রাইখা দেয়। নার্স নীচে যায় ইঞ্জেকশনের জন্য, ডাক্তারও দশ মিনিটের মধ্যে পৌঁছায়া দেখে নার্স ইঞ্জেকশন পুশ করার আগেই বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হয়া গেছে! ডাক্তারের গেছে মিজাজ খারাপ হইয়া! নার্সদের সে কী বকাবকি! এই বাচ্চা হইলো কেমনে? তোমরা কী করছিলা? দশটা মিনিট স্টপ করাইতে পারছিলা না?? …….!!!!!!!!!!!!!
.
কই যাই, কই যাইবেন??

 

 

সিজারে বাচ্চা হবার পর আমার স্ত্রীর তলপেট অনেক বড় হয়ে গিয়েছে, পেট কমাতে করণীয় কি?

 

আমার স্ত্রীর সিজারে বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চার বয়স চার মাস। আমার স্ত্রীর ওজন আগের থেকে ১০ কেজি বেড়ে গিয়েছে। নিচের পেট অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আগে এত মোটা পেট ছিল না। বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে তবুও আমার স্ত্রীর পেট কমছে না। দেখে মনে হয় পেটে আরেকটি বাচ্চা আছে। কী করব? দয়া করে সমাধান দিন।

 

উত্তরঃ সিজার পরবর্তী মেদ খুবই সাধারণ একটা ঘটনা। আমাদের সামান্য অবহেলা এর প্রধান কারণ। বাচ্চাকে ফিডিং দেওয়ার কারণে এখন সবাই একটু বেশি খাওয়া দাওয়া করে থাকেন,যা প্রসবের পরে ঢিলেঢালা চামড়ার নীচের মেদ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। আপনার উচিত দুইবেলা আধ ঘন্টা জোরে হাঁটা, পেটে হালকা সেঁক নেয়া, টাইট আন্ডার গার্মেন্টস পরা যা রাতে খুলে ফেলবেন। এটা একটু সাইজে বড় হয় যা পেটের অনেক অংশ ঢেকে ও চাপিয়ে রাখে। ভাল ব্রান্ডের হলে তেমন কোন সমস্যা হয় না। কিছু ভাল যোগাসন আছে যা পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে সহায়তা করে। চাইলে এগুলো ইউটিউব থেকে দেখে নিয়ে অনুশীলন করতে পারেন। ধন্যবাদ

 

 

সিজার করে সন্তান হলে এই দরকারি তথ্যগুলো অবশ্যই জেনে রাখুন

 

 

বর্তমানে ধনী হোক গরীব হোক সব দম্পতিই চায় তাদের বাচ্চা সিজার করেই হোক। প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিবর্তে বর্তমানে সিজারের আধিক্যই বেশি। কিন্তু সিজারের পর কী হয়, তার ব্যাপারে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। জেনে নিন সিজার করানোর ব্যাপারে দরকারি কিছু তথ্য।

 

সিজার করে সন্তান জন্ম দিলে চার দিনের মতো হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। এ ব্যাপারে জানিয়েছেন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হসপিটালের ডাক্তার আয়েশা নূর মিলি । তিনি জানান, অনেক মা-ই জানেন না যে সিজার করানোর পরেও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হয়। তবে এই রক্তপাতের পরিমাণ হবে সীমিত। সিজারের পর খুব বেশি রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ এবং গাড় রঙের রক্ত যাচ্ছে কী না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এগুলো ইনফেকশনের লক্ষণ।

 

 

• সিজারের পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়। তা খাওয়ানো হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে মা এবং তার পরিবারকে সতর্ক থাকতে হবে।
• সিজার করানোর পরে আরেকটি সমস্যায় মেয়েদের ভুগতে দেখা যায় তা হলো পরের দিন পা ফুলে যাওয়া। এক্ষেত্রে ঘুমানোর সময়ে বা শুয়ে থাকার সময়ে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা একটু উঁচু করে রাখতে হবে। তাহলে পা ফোলা কমে যাবে।
• সিজারের পর অনেক মা-ই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না। সিজার করানোর পর তিন দিনের মাঝে বুকের দুধ না খাওয়ালে এ সময়ে স্তনে চাকা চাকা অনুভূত হয় এবং ব্যাথা হতে পারে। সমস্যার সমাধানে তোয়ালে গরম করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও দুধ বাচ্চাকে না দিলেও বের করে ফেলে দিতে হবে বা রেখে দিতে হবে।
• সিজারের পর আরেকটি ব্যাপার যা অনেক মা-ই জানেন না, তা হলো বুকের দুধ ফিডারে রেখে খাওয়ানো। মায়ের দুধ ফিডারে করে ফ্রিজে রেখে দিলে তা বাচ্চাকে দেওয়া যাবে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। ঠাণ্ডা দুধ তো অবশ্যই বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এটা চুলায় ফুটিয়ে বা ওভেনে গরম করেও দেওয়া যাবে না। গরম পানিতে ফিডার রেখে এই দুধ গরম করে দিতে হবে।

 

এ ছাড়াও সিজার করার পর আরও বেশ কিছু ব্যাপারে জেনে রাখা ভালো

১) ক্যাথেটার
সিজার করানোর পর একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হতে পারে তার শরীরে। এটা শুধু প্রথম দিনেই রাখা হয়। পরের দিন খুলে ফেলা হয়।
২) সেলাইয়ের দাগ
সেলাইয়ের দাগটা থেকে যায় অনেকদিন, অনেক বছর পর্যন্ত। তবে অস্ময়ের সাথে তা অনেক হালকা হয়ে যায়, আগের মতো উঁচুও হয়ে থাকে না। অপারেশনের পর এই কাটা দাগ শুকাতে দিতে হবে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ। পুরো শুকিয়ে গেলে তারপরেই কেবল দাগ দূর করার জন্য তেল মালিশ বা দাগ দূর করার ক্রিম লাগানো যেতে পারে।
৩) অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারা
এটা বেশ বড়সড় একটা অপারেশন সুতরাং অনেকেই এই অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারতে ভয় পান। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তার কিছু ওষুধ দেবেন যা সহজে টয়লেটের কাজ সারতে সাহায্য করবে।
৪) হাঁটাচলা
সিজারের পর রক্ত জমাট বাঁধার ভয় যেন না থাকে তার জন্য পরের দিন হালকা হাঁটাচলা করাটা ভালো।
৫) শরীরে কাঁপুনি
শরীর থেকে অ্যানেসথেসিয়ার প্রভাব কেটে যাবার সময়ে অনেকের কাঁপুনি দেখা যায়। শরীরের নিম্নাগশে বিশেষ করে পায়ে অসাড়তা অনুভব হতে পারে। কয়েক ঘন্টার মাঝে এই অনুভুতি কেটে যাবার কথা।
৬) রক্তপাত
প্রাকৃতিকভাবে সন্তান জন্ম না দিলেও রক্তপাত হবেই। একে বলা হয় পোস্টপারটাম ব্লিডিং। এটা খুব বেশি হলে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।
৭) ভারী কাজ নিষেধ
বাচ্চার চাইতে ভারী কিছু আপনি তুলতে পারবেন না প্রথম ২-৩ সপ্তাহ। ৪-৬ সপ্তাহ ব্যায়াম বন্ধ। আর শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে প্রথম ছয় সপ্তাহ।
৮) হাঁচি-কাশিতে ব্যাথা হতে পারে
সার্জারির পর হাঁচি-কাশি দিতে গেলে পেটে ব্যাথা লাগতে পারে। এ সময়ে পেটের ওপর বালিশ চেপে ধরে রাখলে ব্যাথা কম হবে। অনেকেই এ সময়ে বেল্ট পরে থাকেন। এই বেল্টও ব্যাথা কমাতে সহায়ক। প্রথম সপ্তাহে এই সমস্যা বেশি হবে। পরে কমে যাবে।